Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

সাধারণ তথ্য

ক্র:নং

         সেবা

সেবা প্রদান/প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অসুবিধা সমুহ

  নাগরিক পর্যায়ে

  সরকারী পর্যায়ে

০১

দলিল সংক্রান্ত পরামর্শ

জনসাধারনকে দলিল রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে পরামর্শ ও দলিল প্রস্তুত করার জন্য একজন দলিল লেখক বা উকিলের শরনাপন্ন হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দক্ষ দলিল লিখকের অভাব রয়েছে্। দলিল প্রস্তুত করার জন্য জনগনকে যথেষ্ট সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়।

যেকোন ব্যক্তি ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট থেকে দলিলের রেজিস্টেশন সংক্রান্ত বিষয়ে বিনাখরচে পরামর্শ পেতে পারে। সীমিত জনবলের কারনে প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রে্শনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সকলকে পরামর্শ প্রদান করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়না।

 

প্রতিটি অফিসে নির্দিষ্ট পরামর্শ ডেস্ক না থাকায় জনগন পরামর্শ প্রাপ্তির বিষয়ে অবগত নয়।

 

০২

দলিল রেজিস্ট্রেশন

দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান সংগ্রহ করা জনসাধারনের জন্য সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাধ্য বিষয়্। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমি হস্তান্তর আইন ও বিধি বিধান এবং জমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত খরচ সম্পর্কে জনগনের স্পষ্ট ধারনা থাকেনা্। দলিলের ফি প্রদান বাবদ ব্যাংকে বিভিন্ন দফায় টাকা জমা প্রদান করে পে-অর্ডার সংগ্রহ করতে যথেষ্ট সময় ও বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়।   

জমির মালিকানা সংক্রান্ত স্বয়ংসম্পূর্ন কোন ডাটাবেইজ না থাকায় এবং রেজিস্ট্রী অফিসে জমির মলিকানা সংক্রান্ত আর,ও,আর, না থাকায় উপস্থাপিত তথ্য সমূহ যাচাই করা সম্ভব হয়না।

 

ভিন্ন ভিন্ন দফায় ও  ভিন্ন ভিন্ন পে-অর্ডারে টাকা গ্রহন করা অসুবিধা জনক।

০৩

মূল দলিল সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ফেরৎ প্রদান

সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলের দাখিল গ্রহনের পর পর্যায়ক্রমে বালাম বইতে মূল দলিলের একটি অবিকল প্রতিলিপি প্রস্তুত করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী সুচী প্রস্তুত করার পর পক্ষকে মূল দলিল ফেরত প্রদান করা হয়্। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অফিস ভেদে ১৫দিন থেকে ২/৩ বছর সময় লেগে যায়।ফলে জনগনকে মূল দলিল ফেরৎ পেতে এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দলিল নকলের কাজ ও সূচীর কাজ করতে হয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত জনবল ও বালাম বই-এর নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায় সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের পরিস্থিতি উন্নয়নে তেমন কিছুই করার থাকেনা। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হলে এই দুর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব।

০৪

তল্লাশ ও পরিদর্শন

যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রী অফিস বা সদর রেকর্ডরুম থেকে তল্লাশ কারকের মাধ্যমে বা স্বয়ং সূচী বই তল্লাশ প্রদান পূর্বক কোন সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বা বালাম বই পরিদর্শন করতে পারে।

তথ্যসমূহ সূচী বই থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তল্লাশ করা হয় বলে অনেক বেশী সময় ব্যয় হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়না। তথ্য সমুহ ডাটা বেইজ নাথাকায় এই অবস্থার দ্রুত উন্নতি সম্ভব নয়।

০৫

নকল প্রদান

নির্ধারিতফিসজমাদিয়েআগ্রহীপক্ষরেজিস্ট্রীকৃতযেকোনদলিলওসূচীরনকলতুলতেপারে।

বালাম ও সূচীবই থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নকল প্রস্তুত করে সরবরাহ করা হয় বলে অনেক বেশী সময় ব্যয় হয়।

০৬

দায়মুক্ত(NEC) সনদপ্রদান

যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রী অফিস বা সদর রেকর্ডরুম থেকে কোনসম্পত্তিরদায়মুক্ত(NEC) সনদসংগ্রহকরতেপারে।

তথ্যসমূহ সূচী বই থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তল্লাশ করা হয় বলে অনেক বেশী সময় ব্যয় হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়না। তথ্য সমূহ ডাটা বেইজ না থাকায় এই অবস্থার দ্রুত উন্নতি সম্ভব নয়।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

খতিয়ান কী ?
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরন সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।
সি,এস রেকর্ড কী ?
সি,এস হল ক্যাডাস্টাল সার্ভে। আমাদের দেশে জেলা ভিত্তিক প্রথম যে নক্সা ও ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় তাকে সি,এস রেকর্ড বলা হয়।
এস,এ খতিয়ান কী ?
সরকার কর্তৃক ১৯৫০ সনে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন জারি করার পর যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে এস,এ খতিয়ান বলা হয়।  
নামজারী কী ?
উত্তরাধিকার বা ক্রয় সূত্রে বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় কোন জমিতে কেউ নতুন মালিক হলে  তার নাম খতিয়ানভূক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলে।
জমা খারিজ কী ?
জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়।
পর্চা কী ?
ভূমি জরিপকালে প্রস্তুতকৃত খসরা খতিয়ান যে অনুলিপি তসদিক বা সত্যায়নের পূর্বে ভূমি মালিকের নিকট বিলি করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। রাজস্ব অফিসার কর্তৃক পর্চা সত্যায়িত বা তসদিক হওয়ার পর আপত্তি এবং আপিল শোনানির শেষে খতিয়ান চুরান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর ইহার অনুলিপিকে পর্চা বলা হয়।
তফসিল কী ?
তফসিল অর্থ জমির পরিচিতিমূলক বিস্তারিত বিবরন। কোন জমির পরিচয় প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মৌজার নাম, খতিয়ান নং, দাগ নং, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমান ইত্যাদি তথ্য সমৃদ্ধ বিবরনকে তফসিল বলে।
মৌজা কী ?
ক্যাডষ্টাল জরিপের সময় প্রতি থানা এলাকাকে অনোকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একক এর ক্রমিক নং দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরুপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।
খাজনা কী ?
ভূমি ব্যবহারের জন্য প্রজার নিকট থেকে সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে ভুমি কর আদায় করে তাকে ভুমির খাজনা বলা হয়।
ওয়াকফ কী ?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মুসলিম ভূমি মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যানমুলক প্রতিষ্ঠানের ব্যায় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি দান করাকে ওয়াকফ বলে।
মোতওয়াল্লী কী ?
ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান যিনি করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে।মোতওয়াল্লী ওয়াকফ প্রশাষকের অনুমতি ব্যতিত ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না।
ওয়রিশ কী ?
ওয়ারিশ অর্থ ধর্মীয় বিধানের আওতায় উত্তরাধিকারী। কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে আইনের বিধান অনুযায়ী তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্নীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে ওয়ারিশ বলা হয়।
ফারায়েজ কী ?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।
খাস জমি কী ?
ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।
কবুলিয়ত কী ?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহন করে খাজনা প্রদানের যে অংঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
দাগ নং কী ?
মৌজায় প্রত্যেক ভূমি মালিকের জমি আলাদাভাবে বা জমির শ্রেনী ভিত্তিক প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সিমানা খুটি বা আইল দিয়ে স্বরজমিনে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়। মৌজা নক্সায় প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে ক্রমিক নম্বর দিয়ে জমি চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রদত্ত্ব নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে।
ছুট দাগ কী ?
ভূমি জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে নক্সা প্রস্তুত বা সংশোধনের সময় নক্সার প্রত্যেকটি ভূ-খন্ডের ক্রমিক নাম্বার দেওয়ার সময় যে ক্রমিক নাম্বার ভূলক্রমে বাদ পরে যায় অথবা প্রাথমিক পর্যায়ের পরে দুটি ভূমি খন্ড একত্রিত হওয়ার কারনে যে ক্রমিক নাম্বার বাদ দিতে হয় তাকে ছুট দাগ বলা হয়।
চান্দিনা ভিটি কী ?
হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান অংশের অকৃষি প্রজা স্বত্ত্য এলাকাকে চান্দিনা ভিটি বলা হয়।
অগ্রক্রয়াধিকার কী ?
অগ্রক্রয়াধিকার অর্থ সম্পত্ত্বি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আইনানুগভাবে অন্যান্য ক্রেতার তুলনায় অগ্রাধিকার প্রাপ্যতার বিধান। কোন কৃষি জমির মালিক বা অংশিদার কোন আগন্তুকের নিকট তার অংশ বা জমি বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করলে অন্য অংশিদার কর্তৃক দলিলে বর্নিত মূল্য সহ অতিরিক্ত ১০% অর্থ বিক্রি বা অবহিত হওয়ার ৪ মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার আইনানুগ অধিকারকে অগ্রক্রয়াধিকার বলা হয়।
আমিন কী ?
ভূমি জরিপের মধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তুত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলা হত।
সিকস্তি কী ?
নদী ভাংঙ্গনে জমি পানিতে বিলিন হয়ে যাওয়াকে সিকস্তি বলা হয়। সিকস্তি জমি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়স্তি হলে সিকস্তি হওয়ার প্রাককালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন, তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
পয়স্তি কী ?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়স্তি বলা হয়।
নাল জমি কী ?
সমতল ২ বা ৩ ফসলি আবাদি জমিকে নাল জমি বলা হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তি কী ?
হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির আয়োজন, ব্যাবস্থাপনা ও সু-সম্পন্ন করার ব্যয় ভার নির্বাহের লক্ষ্যে উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি সম্পত্তি বলা হয়।  
দাখিলা কী ?
ভূমি মালিকের নিকট হতে ভূমি কর আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফরমে (ফরম নং-১০৭৭) ভূমিকর আদায়ের প্রমানপত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলে।
ডি,সি,আর কী ?
ভূমি কর ব্যতিত অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফরমে (ফরম নং-২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে ডি,সি,আর বলে।
দলিল কী ?
যে কোন লিখিত বিবরনি যা ভবিষ্যতে আদালতে স্বাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করেন তাকে সাধারনভাবে দলিল বলে।
কিস্তোয়ার কী ?
ভূমি জরিপকালে চতুর্ভূজ ও মোরব্বা প্রস্তুত করারপর  সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভূমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নক্সা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
খানাপুরি কী ?
জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।